কবি ফররুখ আহমদ। আয়ুষ্কাল অল্প। মাত্র ৫৬/৫৭ বছরের (১৯১৮-৭৪)। কিন্তু তারই মধ্যে তিনি বাংলা কবিতার এক প্রোজ্জ্বল কবি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। সেই তিরিশের দশকে 'বুলবুল' ও 'মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকায় তিনি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে মৃত্যুকাল পর্যন্ত অবিশ্রাম কাজ করে গেছেন। বুদ্ধদেব বসু-সম্পাদিত প্রবাদপ্রতিম 'কবিতা' পত্রিকায় লিখেছেন। প্রেমেন্দ্র মিত্র-সম্পাদিত 'প্রেম যুগে যুগে' এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য-সম্পাদিত 'আকাল' সংকলনে তাঁর কবিতা সেকালেই গৃহীত হয়েছে। অগ্রজ কবি শাহাদাৎ হোসেন, আবদুল কাদির ও জসীমউদ্দীনের স্নেহ অর্জন করেছেন তিনি। জীবৎকালে নানা সাহিত্যপুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিতর্কিতও ছিলেন বা আছেন আজো।
১৯৪৪ সালে প্রকাশিত 'সাত সাগরের মাঝি' তাঁর অসামান্য সৃষ্টি হিসেবে পরিগৃহীত হয়েছে। জীবৎকালের সর্বশেষ গ্রন্থ 'হাতেম তা'য়ী' একটি মহাকাব্যিক মূল্যে অধিষ্ঠিত। জীবনভোর কবিতার বহুবিচিত্র রূপকল্পে ভ্রমণ করেছেন। আমাদের সাহিত্যের এই অবিস্মরণীয় কবির জীবনচরিত ও সৃষ্টিকর্মের পরিপূর্ণ আলেখ্য এই বইটি 'ফররুখ আহমদ : জীবন ও সাহিত্য'।
সফট স্কিল নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সফল ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মহার্ঘ্য এ দক্ষতা যে খুবই দরকারি সে ব্যাপারে সবাই একমত। দেশে দেশে সফট স্কিল নিয়ে প্রশিক্ষণ, গবেষণা, পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে জোরেশোরে। অনেক দেশে স্কুল-কলেজের পাঠক্রমেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এটি। অথচ সফট স্কিল যে কী তা এখনও সিংহভাগ মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। ঠিক কীভাবে আয়ত্ত করতে হবে এ দক্ষতা, কোন ক্ষেত্রে কোনটি বেশি প্রয়োজন তা নিয়েও আছে বিভ্রান্তি। এমনই প্রেক্ষাপটে যোগাযোগ ও নেতৃত্ব বিষয়ে খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ পেগি ক্লাউস লিখেছেন 'দ্য হার্ড ট্রুথ অ্যাবাউট সফট স্কিলস: ওয়ার্কপ্লেস লেসনস স্মার্ট পিপল উইশ দে হ্যাড লার্নড সুনার' শিরোনামে সাড়া জাগানো এই বই। অসাধারণ এই বইয়ে পেগি ক্লাউস দেখিয়েছেন, যতটা না কারিগরি দক্ষতার কারণে, তার চেয়ে বেশি সামাজিক, যোগাযোগ এবং আত্ম-ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার কারণে ক্যারিয়ারে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে ব্যর্থ হয় মানুষ। আটটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত বেস্ট সেলার বইটিতে একুশ শতকের প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় কর্মক্ষেত্রে সফট স্কিল অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও কলাকৌশলের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।