'আমার যে একটা বিয়ে হয়েছিল, এই পরিচয়টা কি কখনো মুছে ফেলা যাবে? যাবে না।' ‘আজাদ বলল, ‘জীবনভর ভুল মানুষের কারণে আমাদের জীবনে অসংখ্য ভুল হয়। সেই ভুল থেকে ক্ষত তৈরি হয়। কিন্তু সময় সেই ক্ষত ক্রমশই মুছে দিতে থাকে। আর আমরা যারা বোকা তারাই কেবল সেই ক্ষতগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আবার দগদগে ঘায়ে রূপান্তরিত করি। তাকে শুকাতে দেই না।’ ‘কিন্তু সময় যদি কারো ক্ষত শুকিয়ে দিতে না পারে? যদি তা দুঃসহ স্মৃতি হয়েই থেকে যায়?’ ‘তাহলে সেটি মোছার ব্যবস্থা করতে হবে।’ ‘কীভাবে মুছব?’ ‘অনেক অনেক ভালো স্মৃতি তৈরি করে। ঘরের দেয়ালে নোনা ধরলে কিংবা পলেস্তরা খসে গেলে আমরা কী করি? তেমনই রেখে দেই? যাতে ধীরে ধীরে পুরো বাড়িটাই নষ্ট হয়ে যায়?’ ‘উহু। ‘তাহলে? আমরা তাকে ধুয়ে মুছে নতুন রঙ করি। যাতে সেই নোনা ধরা দেয়াল ঝলমলে হয়। নষ্ট হয়ে না যায়। জীবনও তেমনই। এখানেও এর দেয়ালজুড়ে অসংখ্য ক্ষত তৈরি হয়, নোনা ধরে। সেসব ধুয়ে মুছে নতুন রঙ না করলে তা আরও বাড়ে। বাড়তেই থাকে। তারপর নষ্ট করে ফেলে পুরো জীবনটাই। ‘ঘরের দেয়াল রঙ করা যায়, জীবনের না। কারণ, জীবনের রঙ কোথাও কিনতে পাওয়া যায় না।’ ‘যায়। কিন্তু আমরা তা কিনতে জানি না।’ ‘কীভাবে? ‘জীবনের রঙ হলো ভালো মুহূর্ত, সুন্দর স্মৃতি। দ্যা বিউটিফুল মোমেন্ট অ্যান্ড দ্যা বিউটিফুল মেমোরিজ। তুমি জীবন জুড়ে যত বেশি ভালো স্মৃতি তৈরি করতে পারবে, তত বেশি ওই নোনা ধরা খারাপ মেমোরিজগুলো ঝাপসা হয়ে যেতে থাকবে। ক্ষতগুলো শুকিয়ে যেতে থাকবে।’
" Transformation " is such a poetry book, where author has tried, to show the reel of life, from its painful states to a lovely part. There are so many writes, always try to reflect the lively art of life. Whether use of metaphor, simile, rhymic, lyric etc. whatever ; author ""S Afrose"" has tried to express her feelings, thoughts in motion; using the spirit of mind, with passionate vibes.
We hope, this book (from Anyadhara) will be accepted by our valuable readers (BD or Abroad), like other ones (published from Anyadhara ).
May this poetic magic help to resolve all unexpected, painful states , for the beautiful life.
Thanks!
"রয়াল মেডিকেল কলেজ-এর মত দেশের নামকরা এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তরুণ চিকিৎসক ডা. শানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দেশব্যাপী তোলপাড় পড়ে গেল। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তাগণ ডা. শানের মৃত্যুকে খুন হিসেবে সন্দেহ করলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে খুনের কোনো প্রমাণ মিলল না।
যে টিউটোরিয়াল রুমে ডা. শানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সেই রুমের পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করা রক্তের ব্যাগের ভেতরের রক্তের ডিএনএর সাথে ডা. শানের মরদেহের ডিএনএর কোনো মিল পাওয়া গেল না। সন্দেহভাজনদের রিমাণ্ডে নিয়েও তদন্তে কোন অগ্রগতি হলো না!
ডা. শানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রায় দেড় বৎসর পর মেডিকেল ছাত্রী তরুণিমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন কল এলো ডা. শানের! তিনি কি খুন হওয়া সেই শান? নাকি অন্য কেউ?
ডা. শান কি আদৌ খুন হয়েছেন? খুন হয়ে থাকলে খুনি কে বা কারা? নাকি ঘটনার পেছনে আরও ঘটনা আছে? শেষ অবধি কি সকল অজানা রহস্য উন্মোচিত হবে?
কাহিনি-পরিক্রমার পরতে পরতে নিগূঢ় রহস্য, টানটান উত্তেজনা আর রোমাঞ্চকর বাঁক।
পড়তে থাকুন সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের উপন্যাস 'দ্বৈত'!"
"জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধ্যায় সাহিত্য পুরষ্কার গ্রহণের প্রাকমুহূর্তে লেখক আরিয়ান শফিককে প্রেপ্তার করা হল তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে হত্যা করার অপরাধে।
আত্মপক্ষ সমর্থনের আগেই তাকে হত্যা করতে উদ্যত হল একাধিক মহল। অন্যদিকে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এক অফিসার ও এক আইটি এক্সপার্ট। এমন এক ঘটনার সাথে জড়িয়ে গেল আরিয়ান যার কেন্দ্র বিন্দুত রয়েছে সে নিজে। আরিয়ান বুঝতে পারে না একদল লোকের কাছে কেন সে এতো গুরুত্বপূর্ণ, আবার অন্যরা তাকে কেনই বা মেরে ফেলতে চাচ্ছে। আরিয়ানদের জন্যে হিসেব খুব সহজ: বাঁচতে হলে জানতে হবে সত্য, সত্য জানতে হলে উদ্ধার করতে হবে তথ্য, আর তথ্য জানতে হলে প্রতি পদে নিতে হবে জীবনের ঝুঁকি। জীবন বাঁচানোর জন্যে জীবনের ঝুঁকি নেয়ার এই খেলায় সবাইকে স্বাগতম।
রুদ্ধরাত এমন এক রাতের গল্প, যে-রাতে কারো ঘুমানোর উপায় নেই।
"সে ডুবে গেল!
মৃত্যুর পর সে ডুবে গেল গভীর কালো এক অন্ধকারে। এই অন্ধকার থেকে মুক্তির উপায় কারো জানা নেই, যে একটু আগে মারা গেছে তার যে কী ভীষণ যন্ত্রণা ছিল কিংবা তার জীবনের সুখের মাত্রাটাইবা কি ছিল; সেটা ও ছাড়া আর কেউ কখনো জানবে না। পৃথিবীর সবটুকু কালো যখন মানুষটাকে নিজের মধ্যে গ্রাস করে নিল তখন সে বুঝল...
বইটা এখানেই শেষ।
শেষ বলতে এর পরের অংশটুকু নেই। চমৎকার একটি উপন্যাসের শেষটুকু নেই। এর কোনো মানে হয়?
তিনদিন হলো আশরাফ উদ্দিন অফিস থেকে ফিরে বইটি পড়ছেন। আজকে শেষ পাতায় এসে বাধ্য হয়ে তাঁকে থামতে হলো। চমৎকার একটি উপন্যাসের শেষের কিছু পাতা না থাকায় তিনি জানতে পারছেন না কী পরিণতি হয়েছে মার্কের, জানতে পারছেন না পাহাড়ের খাদে নতুন যে বাড়িটি বানিয়েছে মার্লিন দম্পতি তাদের কী অবস্থা এখন; অথবা বিটকেল বুড়োটা নদী থেকে ফিরে কী তুলকালাম করেছে। রাখাল ছেলেটা যে সদ্যবিবাহিত মেয়েটির প্রেমে পড়েছে তারইবা কী হবে?"
বিজনের ঘরের প্রতিটা কোনায় তার ছোঁয়া আছে। দেয়ালে ঘড়ির পাশে কাঁপড়ের ডিজাইন করা ওয়ালমেটের দিকে তাকালে তাকে মনে পড়ে। ক্যালেন্ডারের পুরোনো পাতায় লাল, কালো দাগ গুলোও মনে করিয়ে দেয় যে সেই মানুষ টা এই ঘরটায় থাকতো।
কী অদ্ভুত! মানুষ টা নেই, অথচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা স্মৃতিগুলো আজও মানুষ টা'কে ভুলতে দেয় না।
"আচমকা পেছন থেকে একটা হাত সাবিকের চোখ চেপে ধরল।
আরেকটা হাত বাহুর নিচ গলে কোমর জড়িয়ে ধরেছে।
কিছু বুঝে উঠার আগেই সে টের পেল, কেউ একজন পিঠের সাথে মিশে আছে। পরক্ষণে ঘাড়ের কাছে একটা স্পর্শ।
একমুহূর্তের জন্য ঠোঁটজোড়া চেপে বসল বুঝি। অতঃপর কানের কাছে মেয়েলি কন্ঠ, লাভ ইউ! ক্ষণিকের জন্য ঘোরগ্রস্ত হলো সাবিক। মনের অস্থিরতা উবে গিয়ে শরীর শিথিল হলো। পরমুহূর্তে সচকিত হলো সে। ঝট করে পেছন ফিরল। ততক্ষণে পেছনে থাকা মানুষটা গায়েব। মানুষজনের ভীড়ে মিশে গেছে সুনিপুণভাবে। তাকে আলাদা করে চেনার উপায় নেই! হতভম্ব ভঙ্গিতে আশপাশে তাকাল সাবিক। মেয়েলি কন্ঠের মালিককে খুঁজল। তারপর আন্দাজে ঢিল ছুড়ল। গেটের কাছে একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। কোমর সমান চুল ছড়িয়ে আছে পিঠে।
হাতভর্তি চুড়ি। পায়ে হিল স্যান্ডেল। সাবিকের মনে হলো, এই মেয়েটাই বৃষ্টি। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরায় উচ্চতা খানিক অনুমান করা যায়। মেয়েটা অত লম্বা না। তবে হিল পরায় সহজেই সাবিকের ঘাড় সমান চলে আসে। সে অনিশ্চিত সুরে ডাকল,"
এই ভূমিকায় আপনাদের একটা গল্প বলি।
এই এত্তবড় গল্পটার পেছনের গল্প। প্রথম যখন লেখা শুরু করি ‘উপসংহারে তুমি আমি’ তখন গল্পটা এত বড় ছিল না। খুবই ছোট্ট একটা সাধারণ প্লট। দুই মামাতো ফুপাতো ভাই বোনের মধ্যে হওয়া প্রেম-ভালোবাসা ও প্রণয়ের গল্প। আমার অনুমান আমাকে জানিয়েছিল খুব বেশি হলে সাত থেকে দশ পর্বে গল্পটা শেষ হবে। তারপর যখন মনস্থির করে গল্পটা ফেসবুকে দেয়া শুরু করলাম টের পেলাম সেই ছোট্ট গল্পটাই যা আমি তিন ভাগে বিভক্ত করেছিলাম, প্রথম অংশই যেন দশ পর্বে শেষ হয় না।
দানব হত্যার জন্য মানবরা তৈরি করে একদল বিকৃত ও রূপান্তরিত যোদ্ধা, যাদের বলা হয় উইচার। গেরাল্ট এমনই এক উইচার যার কাজ হলো অর্থের বিনিময়ে দানব হত্যা করা। যদিও সম্মান আর সম্মানি, এ দুটোর দর্শন একই পথে মেলে খুব কমই। তাপরেও নিজের নীতিতে অটল গেরাল্ট চেষ্টা করে সমস্ত অবহেলা আর ঘৃণাকে তুচ্ছ করে কেবলই নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে। তৈরি করতে এমন এক জগত যে জগতে কোনো দানব নেই। ফলে নই উইচারের প্রয়োজনীয়তাও।
কিন্তু সাদা-কালোর সুস্পষ্ট বিভাজন না মেনে চলা এই জগতে যেমন দানবের দেহে আটকা পড়া মানব আছে, তেমনি আছে মানবের দেহে ঘাপটি মেরে থাকা দানবও। আর এই দানবগুলো যেমন মাঝে মাঝে বিভান্ত করে দেয় উইচারের তলোয়ারকে, তেমনি নীতির আদালতে তুলে দেয় তার বিবেককেও।"
সাহিত্যের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল জায়গা হলো কবিতা, শৈল্পিক কারুকাজে জীবনের রসবোধ তুলে ধরার এ মাধ্যমে নিজেকে হাতুড়ে চিকিৎসকের মতো মনে হয়।
অনেক সাধনার এ বিষয়টি নিয়ে লেখার ধৃষ্টতা করেছি মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতের অছিলায়। জীবনের নিগুঢ় সত্যিগুলো আবেগ তাড়িত মনে জমাটবদ্ধ হয়ে গেছে একটু একটু করে, সময় ও পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চরিত্রের যে পরিবর্তন, ভালোবাসার অবশায়ন, স্বার্থের ধারালো আঘাতে বিদীর্ণ সম্পর্কগুলোর আকুলতা, সর্বোপরি মহা প্রস্থানের যাত্রায় আমাদের রুগ্ন সম্বল নিয়ে বিচলিত মননের কিছু প্রতিচ্ছবি আমার কবিতার মূল উপজীব্য।
টোকিয়োর এক বৃষ্টিভেজা রাতে এই বইয়ের সূত্রপাত হয়, যখন লেখকদ্বয় প্রথমবার শহরের একটি ছোটো বারে একসাথে বসে ছিলেন।
আমরা একে অপরের লেখা অনেকবার পড়েছি। কিন্তু জাপানের রাজধানী থেকে বার্সেলোনা হাজার হাজার মাইল দূরে হওয়ায় কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। তারপর পরস্পরের পরিচিতি একজন বন্ধু আমাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে একটি বন্ধুত্বের সূচনা ঘটান, যা এই প্রকল্পের দিকে পরিচালিত হয় এবং মনে হয় এটি আজীবন স্থায়ী হবে।
এক বছর পরে যখন আবার একত্র হয়েছিলাম, তখন আমরা টোকিয়োর শহরতলিতে একটি পার্কের মধ্য দিয়া হাঁটতে হাঁটতে পশ্চিমা মনোবিজ্ঞানের প্রবণতাগুলো, বিশেষত, লোগোথেরাপির বিষয়ে কথা বলেছি, যা মানুষকে জীবনের উদ্দেশ্যে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। <br> <br> আমরা মন্তব্য করেছিলাম, ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কলের লোগোথেরাপি এখন আর তেমন সচল নেই। যদিও অনেক মানুষ এখনও তারা কী করছে এবং কীভাবে জীবনযাপন করে- তার মাঝে জীবনের অর্থ অনুসন্ধান করে। আমরা নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করি; আমার জীবনের অর্থ কী? কেবল দীর্ঘকাল বেঁচে থাকাই কি জীবনের উদ্দেশ্য, নাকি আমার আরও উচ্চতর উদ্দেশ্যের সন্ধান করা উচিত? কিন্তু লোক কেন জানে তারা ঠিক কী চায় এবং জীবনের প্রতি অনুরক্ত হয়, আর অন্যরা কেন বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত হয়? আমাদের কথোপকথনের এক পযায়ে, রহস্যময় শব্দ ‘ইকিগাই’ উঠে এলো।
সময়ের তাড়নায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার ঢেউ নাড়া দেয়। জোয়ার ভাটার এই খেলায় কিছু লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেশ জমা হয়। অল্প সল্প ভালোলাগা, ছোট্টো ছোট্টো চাওয়া পাওয়া নিয়ে যায় প্রেম ভুবনে। নিউরনে এক ধরনের উত্তাল কম্পন গড়ে তোলে। অজানা, অদেখা এই ঢেউ, এই ভালোবাসার রঙ ফুটে উঠে পাওয়ায়, না পাওয়ায়। কখনো ভালোবাসা হয়ে যায় রঙ্গিন,
কখনো বেদনা হয়ে যায় নীল।
ইচ্ছে করে বলতে ‘এই যে দেখো, কাছে আরো, স্পর্শ করে বুক ধ্বনিত হবে, অনুভবে তবে, জ্বালাময়ী অসুখ।
কখনোবা কষ্টের লাল রঙ ভেসে উঠে, কখনোবা মৌনতার ঝড় উঠে। চুপি চুপি কে যেন বলে যায় ‘দুজনের মাঝে যুদ্ধের কড়া হরতাল আজ,
মৌনতা যেনো রণক্ষেত্রের সাঁজ।
এভাবেই কিছু ভালোবাসা পূর্ণতা পায় কিছু হারিয়ে যায় কালগহ্বরে। যত ঝড় আসুক, যত যাতনা আসুক ভালোবাসগুলো ঠাই পাক প্রেমিক-প্রেমকার হৃদয়ের মণিকোঠায়। বেঁচে থাকুক ভালোবাসা, ভালোবাসার মানুষগুলো।
বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আবির্ভাব একটি যুগান্তকারী ঘটনা। শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে নয়, নিজের চারিত্রিক গুণাবলি, যোগ্যতার বলে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের শীর্ষপদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি বলে অভিহিত করা যথার্থই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। এরপর প্রায় ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবেই দেশে ফেরেন। টানা ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের দায়িত্বপালন করছেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো এবং এরপর ২০০৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার নজির আর কারও নেই। বাংলাদেশের তিনটি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’র মাঝি এখন তিনিই। সহজাত নেতৃত্ব গুণে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁকে বিবেচনা করা হয় উন্নয়নের পথপ্রদর্শক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অতন্দ্র প্রহরী, বিশ্বশান্তির দূত, বৈশ্বিক কূটনীতিতে দূরদর্শী নেতা, জাতির সার্বভৌমত্বের প্রতীক, নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রপথিক হিসেবে। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আর ইচ্ছাশক্তি যদি প্রবল থাকে, তবে যেকোনো বাধাই অতিক্রম করা যায়- নিজের জীবন থেকে এই চরম সত্যটা জেনেছেন তিনি।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব যেমন অপরিহার্য ছিল, তেমনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষামুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন তথা জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় তাঁরই রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বও আজ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিতার মতো তিনিও রাজনীতিকে গ্রহণ করেছেন ত্যাগের আদর্শ হিসেবে। তাঁর সৎ, যোগ্য ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের রূপরেখায় আমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা খুঁজে পাই।
এ স্বপ্ন সত্যিই আমাদের ঘুমাতে দেয় না, আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। স্বদেশভূমির প্রতিটি ইঞ্চিতে আমরা আমাদের স্বপ্নের বীজ বুনছি অহর্নিশ। জাতির প্রত্যাশিত স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের এ কর্ষিত জমিতে জনগণের ভালোবাসার আস্থার নাম- শেখ হাসিনা।
গণমানুষের জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনীকর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর সুনিপুণ উপস্থাপনায় গবেষক, শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মোহন রচনা করেছেন ‘শেখ হাসিনা’। বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সত্যান্বেষী যেকোনো আগ্রহী পাঠকের জন্য এই জীবনীগ্রন্থটি সঠিক দিশা দেখাবে বলেই গভীরভাবে বিশ্বাস করি
এ প্রমিজড ল্যান্ড অনুপমভাবে আন্তরিক ও অন্তর্দৃষ্টিমূলক; ইতিহাসের সাথে একজন মানুষের বাজি জেতার, একজন কমিউনিটি অর্গানাইজারের ঠুনকো বিশ্বাসের বিশ্বমঞ্চের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার গল্প। একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে সর্বোচ্চ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার, “আশা ও পরিবর্তনের” বার্তাকে বয়া বনিয়ে ভেসে থাকা গোটা একটা প্রজন্মের প্রত্যাশার বোঝা কাঁধে নেওয়ার, এবং উচ্চ-ঝুঁকিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত প্রণয়নের সাথে জড়িত নৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার কাজটি করতে গিয়ে অকপট থেকেছেন ওবামা। দেশে ও বিদেশে যেসব শক্তি তার বিরুদ্ধতা করেছে সেগুলোর ব্যাপারে তিনি খোলামেলা, হোয়াইট হাউসের জীবন তার স্ত্রী ও কন্যাদের উপর কি ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছে তা বর্ণনার ক্ষেত্রে নির্ব্যাজ, সর্বোপরি আত্ম-সংশয় ও অসন্তুষ্টি উদঘাটনের ব্যাপারে নির্বিশঙ্ক; এসত্ত্বেও, নিজের এমন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কখনোই দোদুল্যমান হননি যে মহান, চলমান আমেরিকান পরীক্ষার ভেতরে অগ্রগতি সবসময়ই সম্ভব। প্রেসিডেন্সির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে, তিনি একটি অসামান্য ও চিন্তাশীল রোমন্থন হাজির করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতার অভিভূতকারি নাগাল ও সীমাবদ্ধতা, দুটোরই, ঠিক যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলান্ধ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির গতিবিদ্যার অনন্য অন্তর্দৃষ্টিগুলো সম্পর্কেও। ওবামা তার পাঠকদের ওভাল অফিস ও হোয়াইট হাউস সিচুয়েশন রুমের ভেতরে নিয়ে গেছেন; এছাড়া মস্কো, কায়রো, বেইজিং, ও এগুলোর বাইরে তার উল্লেখযোগ্য বিচরণের সঙ্গী করেছেন। অনেকগুলো অপরিজ্ঞেয় গূঢ় সম্পর্কে অবহিতির জানালা প্রথমবারের মতো খুলে দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে অন্যতম: মন্ত্রিসভা গোছানো, বৈশি^ক আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলা, ভ্রাদিমির পুতিনকে সামলানো, আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভাবনীয় অ্যাফর্ডেবল কেয়ার এক্ট পাস করানো, আফগানিস্তানে মার্কিন কৌশল নিয়ে জেনারেলদের সাথে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়া, ওয়াল স্ট্রিট সংস্কার, ডিপওয়াটার হরিজোন ব্লো আউটের প্রতি সাড়া এবং সর্বোপরি অপারেশন নেপচুন স্পিয়ারকে সফল করার সাথে সম্পর্কিত হুজ্জত, যেটি ওসামা বিন লাদেনকে ঘায়েল করতে সমর্থ হয়।
“আমি কখনোই গভীর ভক্তি অনুপ্রাণিতকর ওই অনুভূতি থেকে নিজেকে পুরোপুরি অননুরক্ত করতে পারবো না, যেটা যখনই ওভাল অফিসের মধ্যে পা রাখতাম তখনই অনুভব করতাম, যেন অফিস নয়, গণতন্ত্রের কোনো পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছি।