এখন তো সবাই টাইম মেশিনে মহাবিশ্ব ঘুরে বেড়াতে চায়। আবার এটাও জানতে চায়, বর্ষায় বাজ থেকে বাঁচার উপায় কী। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো মহাবিশ্বের সাম্প্রতিক সাড়াজাগানো ছবিগুলো আমাদের নিয়ে গেছে বিগ ব্যাংয়ের আরও কাছে। বিজ্ঞানের সবকিছু জানাবোঝার আগ্রহ এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সে জন্যই বইটি সবার হাতে হাতে থাকতে পারে।
টাইম ডায়ালেশন কী? সূর্যের চেয়ে চাঁদ ৪০০ গুণ ছোট আবার ৪০০ গুণ কাছে কেন? মহাশূন্য ঠান্ডা কেন? স্বপ্ন কেন দেখি? বানর কেন কথা বলতে পারে না? কোভিডের টিকা নিলেও কেন করোনা হয়? বাঘ-সিংহ শুধু মাংস খেয়ে বাঁচে কীভাবে? একই সঙ্গে দুই হাতে লেখা যায় না কেন? নারীর চেয়ে পুরুষদের মাথায় বেশি টাক কেন? ভয় পাওয়ার পেছনের বিজ্ঞান কী? ফোবিয়া দূর করব কীভাবে? মশা তাড়াব কীভাবে? মানুষের শরীরে জীবকোষের চেয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি কেন? এসব কী ও কেন-এর উত্তর কী? পড়ুন বিজ্ঞানের এই ব্যতিক্রমী বইটি।
রূপকথার ভুবনে থাকে ভালো-মন্দের চিরকালীন দ্বন্দ্ব; মন্দকে হারিয়ে শেষে শুভ, সত্য ও কল্যাণের জয়। ১৭টি দেশের রূপকথা নিয়ে সাজানো এ বই পাঠকের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক হবে। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। রকমারি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রচলন, সমাদর ও ব্যবহার পুরোনো অনেক কিছুকে নিয়ত পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। তারপরও রূপকথার আবেদন কিন্তু কমেনি। তার মূল্য ও গুরুত্ব চিরন্তন। ছোটবেলায় মা-বোন, খালা-ফুফু, দাদি-নানি ও অন্য মুরব্বিজনের মুখে শোনা রূপকথার গল্প শিশুর কচি মনে কল্পনা ও সৃজনীশক্তির উন্মেষ ঘটায়। প্রজন্মান্তরে এই প্রক্রিয়া বহমান থাকে। এ বইয়ে রয়েছে ১৭টি দেশের ১৭টি বাছাই করা রূপকথা। গল্পগুলো বাছাই করা হয়েছে খুব সতর্কতা ও যত্নের সঙ্গে। একেকটি গল্প একেক রকম বৈশিষ্ট্যে, দীপ্তিতে অনন্য। প্রতিটি গল্পেই কাহিনির আবরণে লুকানো আছে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের রত্নদীপ। পাঠকের মনকে যা আলোকিত ও তার চেতনাকে সমৃদ্ধ করবে।
গল্পগুলো ছোট, সহজ ও সাবলীল। লেখকের গল্প বলার ভঙ্গিও চমত্কার। এগুলো সহজেই কিশোর পাঠকের মনে ভাষাশিক্ষার সঙ্গে আনন্দেরও সঞ্চার করবে। এককথায় বইটিকে বলা যায় ভাষা শেখার আনন্দপাঠ। বইটি কিশোর পাঠকদের ভালো লাগবে। বাংলা ভাষার কলাকৌশল নিয়ে লেখা চমত্কার একটি বই গল্পে শেখো বাংলা ভাষা। এ বইয়ে লিপি এল কেমন করে তার ধারণা পাওয়া যায় ‘অনেককাল আগের কথা’ গল্পটি পড়ে। বানানে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন লেখক ‘বৃষ্টিতে নতুন খেলা’ গল্পে। ‘গভীর রাতের গল্পে’র ভেতরে লুকানো আছে বাংলা বানানে ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম। উ-কারের বহুরূপী ব্যবহারের প্রসঙ্গ এসেছে ‘হরবোলা নিরু’ গল্পে। এ ছাড়া কয়েকটি গল্পে শব্দের অর্থ ও প্রয়োগের দিকগুলো সহজ করে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্র অনন্যা। বাকি চরিত্রগুলো বিভিন্ন প্রসঙ্গে ও বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পরিবেশে এসেছে। এ গল্পগুলোতে বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দিক লেখক কিশোর পাঠকদের উপযোগী করে তুলে ধরেছেন। গল্পের আদলে, ব্যাকরণের নীরস কাঠিন্য পরিহার করে। —মাহবুবুল হক
শেয়াল মামা শেয়াল মামা
বুদ্ধি তোমার অনেক
অংক যখন করতে বসি
আমায় দিও খানেক
এবার আমি পাবোই পাবো
একশোতে একশো
হবোই হবো শেয়াল মামার
আদর্শ শিষ্য
ছোটদের জন্য এমন মজার মজার ছড়া ও রঙিন ছবি নিয়ে জয় শাহরিয়ারের বই ‘জেব্রা এলো শহরে’।
চার রঙা ছাপা বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন গৌতম দাশগুপ্ত।
সুমন, মারুফ আর শোভন তিন বন্ধু। স্কুলের দেয়াল পত্রিকার দায়িত্ব পড়লো ওদের ওপর। মাঝে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আলোর মুখ কি দেখতে পাবে ওদের দেয়ালিকা?
হাতিরঝিলে চড়ুইভাতি' শিশুতোষ ছড়ার বই। ছড়ায় ছড়ায় শহর, দেশ, ঋতু আর জীবনকেন্দ্রিক জানার, শেখার সুযোগ তৈরি হবে এই বইটি পড়লে।
জয় শাহরিয়ারের ছন্দের সাবলীল ব্যবহার আর গৌতম দাশগুপ্তের দারুণ সুন্দর অলঙ্করণ ছোটোদের মনে দাগ কেটে যাবে। ছড়ায় ছড়ায় আনন্দ আর শেখার এক অবলম্বন হতে পারে এই চার রঙা ছাপা রঙিন বই।
বাড়ির বেজমেন্ট, সেখানে ভিন্ন আরেক পৃথিবীতে যাওয়ার সুড়ঙ্গ! সেটা খালি চোখে দেখার উপায় নেই! যেতে হলে বিশেষ একজনকে উপস্থিত থাকতেই হবে! অদৃশ্য সেই পৃথিবীতে আছে কাঁকড়ার মতো দেখতে এলিয়েন, নৌকার মতো বিশাল এক দোলনা, হাজারো রঙের বিস্ফোরণ, ব্ল্যাকহোল, ওয়ার্মহোল! আছে ‘মহান অজানা’ নামের এক খ্যাপা ঈশ্বর। আছে প্রচণ্ড ক্ষমতার অধিকারী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।
মার্কো নামের ছেলেটাকে দ্রুত সেই অদৃশ্য পৃথিবীতে প্রবেশ করতে হবে। শিখতে হবে মহাবিশ্বে অবাধ যাতায়াতের কৌশল, উদ্ধার করতে হবে চুরি যাওয়া মাস্টার বক্স। এরপর খ্যাপা ঈশ্বরের মোকাবিলা করতে হবে। নইলে ধ্বংস হয়ে যাবে ওর নিজের চিরচেনা পৃথিবী!
মার্কো কি পারবে এত কিছু করতে?
সপ্তাহের একটি দিন বিদ্যাসাগর হাইস্কুলকে চেনাই যায় না। এদিন সবাই স্কুলে আসে বই ছাড়া—পুরো একটি দিন স্কুল হয় বইপত্র ছাড়া। ভাবা যায়!
মঙ্গলবার হচ্ছে স্কুলের সেই বিশেষ দিন—‘নো ব্যাগ ডে’। অর্থাৎ নো পড়াশোনা।
তাহলে সেদিন স্কুলে কী হয়?
সে এক মজার গল্প!অভিনব এই উদ্যোগের পরিকল্পনা এসএমএস স্যারের। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও স্কুলের সৃজনশীল দিকটাও দেখভাল করেন। আর এ যাত্রায় তার সঙ্গী হয় ক্লাস এইটের ‘ফুল পরিষদ’। টগর, বকুল, শিমুল আর চামেলি—চার বন্ধু। ফুলের নামে বলে তারা ফুল পরিষদ নামে পরিচিত।
প্রধান শিক্ষক কিতাব উদ্দিন স্যার চাইছিলেন পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলে সৃজনশীল চর্চা আরেকটু গতিশীল করতে। তার স্বপ্ন বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের সাফল্যকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
কিন্তু কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এসএমএস স্যার!
কী রহস্য মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নীল মঞ্জিলটি ঘিরে? বারবার কেন রিয়া আর রকিকে চুম্বকের মতো টানছে গোরস্তানের গলি? কী আছে ওখানে? তোমরাও দেখবে, চলো!
বাড়ির নাম নীল মঞ্জিল। কী রহস্য মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে দালানটি ঘিরে? বারবার কেন রিয়া আর রকিকে চুম্বকের মতো টানছে গোরস্তানের গলি? কী আছে ওখানে? নিঝুম শহর নিঝুমপুরের লোভনীয় হাতছানি উপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি ওদের পক্ষে, একপর্যায়ে রহস্যের কিনারা করার জন্য রাতদুপুরে গোরস্তানের দিকে পা বাড়াল দুই ভাইবোন। গিয়ে দেখল...। তোমরাও দেখবে, চলো!