প্যারাসাইকোলজি: মায়াস্বর্গ (হার্ডকভার)

Brand
SKU: APR00099
Seller: Anindo Prokash

Tk 126
Tk 350
Tk 350
64% OFF
SoldOut


প্যারাসাইকোলজি: মায়াস্বর্গ (হার্ডকভার)
লেখক: মোশতাক আহমেদ
বইয়ের ধরন: উপন্যাস
প্রকাশনীর নাম: অনিন্দ্য প্রকাশ
সংস্করণ: ১ম প্রকাশ, ২০২০
দেশ: বাংলাদেশ
ভাষা: বাংলা

ফ্ল্যাপে লেখা কথা:

আজাদ আর শারমীনের সুখের সংসার। এখনো সন্তান না হওয়ায় কিছুটা দুঃখ আছে বইকি, তবে আজাদ বিশ্বাস করে আজ হোক কাল হোক, সংসারে সন্তান আসবে। সুখের এই সংসারটা আচমকাই এলোমেলো হয়ে গেল মায়াস্বর্গের প্রভাবে। শারমীন হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে যেতে শুরু করল মায়াস্বর্গ নামক অদ্ভুত এক কাল্পনিক জগতে। মায়াস্বর্গে শারমীনের দ্বিতীয় স্বামী আছে, তার নামও আজাদ, চেহারাও একইরকম। আর রয়েছে ফুটফুটে এক মেয়ে, নাম নওমি। দিন যতই পার হতে থাকে, মায়াস্বর্গের প্রতি শারমীনের মোহ তত বাড়তে থাকে। এক সময় ভুলে যেতে থাকে বাস্তব জীবনের স্বামী, সংসারকে।

গভীর এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে আজাদ শরণাপন্ন হয় ডাক্তার তরফদারের। ডাক্তার তরফদার প্রথমে ভেবেছিলেন শারমীনের অসুস্থতাটা বোধহয় সিজোফ্রেনিয়া হবে। কিন্তু যখন নিশ্চিত হলেন মায়াস্বর্গের সবকিছু কাল্পনিক নয়, অনেক অজানা আর গোপন সত্য রয়েছে মায়াস্বর্গের ধূম্রজালে, তখন সিজোফ্রেনিয়ার ধারণা থেকে বের হয়ে এলেন তিনি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন শারমীনের জীবনের অনেক ঘটনাই অজানা রয়েছে আজাদের। পাশাপাশি শারমীনের রয়েছে এক অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। দূর থেকে হলেও সে সবার অলক্ষে যোগাযোগ করতে পারে, সময় কাটাতে পারে প্রিয়, অতিপ্রিয় আর ভালোবাসার মানুষের সাথে। পৃথিবীর খুব অল্পসংখ্যক মানুষের এই ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু শারমীনের সময় যে শেষ! মৃত্যু তার দরজায় কড়া নাড়ছে! আর কয়েকটা দিন মাত্র!

ডাক্তার তরফদার কি শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন মায়াস্বর্গের সন্ধান? আর কী পরিণতি হয়েছিল শারমীন আর আজাদের সংসারের? শারমীনের ঐশ্বরিক ক্ষমতারই বা ব্যাখ্যা কী ছিল?

 

Note: Product delivery duration may vary due to product availability in stock.

Disclaimer: The actual color of the physical product may slightly vary due to the deviation of lighting sources, photography or your device display settings.

 

লেখক মোশতাক আহমেদ এর জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায়। পেশায় একজন অতিরিক্ত ডিআইজি হওয়া সত্ত্বেও লেখালেখির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচুর। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন নিয়েই সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। বাংলা সায়েন্স ফিকশন জগতে তার পোক্ত একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মোশতাক আহমেদ এর বই সমূহ ভৌতিক, প্যারাসাইকোলজি, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্ল্যাসিক, ভ্রমণ ইত্যাদি জঁনরাতে বিভক্ত। যেকোনো একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতেই পছন্দ করেন। মোশতাক আহমেদ এর বই সমগ্র সংখ্যায় পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ছিল ‘জকি’। এটি একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। ২০০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মোশতাক আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ফার্মেসি বিভাগে, পরে আইবিএতে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধবিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার খাতিরেই হোক বা কর্মজীবনের তাগিদেই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ভ্রমণ করেছেন। সেসব ভ্রমণকাহিনীর আশ্রয়ে তাই ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও। তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড শুধু লেখালেখিতেই গণ্ডিবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাজারবাগের পুলিশ ও পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মোশতাক আহমেদ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এটি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে এ পর্যন্ত রয়েছে ২০১৩ সালের কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৫ সালের সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার এবং সর্বশেষ সংযুক্তি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭।

 

Customer Questions and answers :

Login to ask a question