বাধা আসার পরও কীভাবে উঠে দাঁড়ানো যায়, সেটি সব মানুষের জানা উচিত। এজন্য সবার মানসিক যত্ন নেওয়া জরুরি। এই যত্ম কীভাবে নেবেন, সে বিষয়েই এ বই।
"বাংলাদেশের তরুণরা খুবই মেধাবী। তাঁরা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। কিন্তু কেউ বলে না কিভাবে সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করতে হবে! কারো হাতে সময় নেই তাঁদের জন্য। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।
কিন্তু নিজে একা বড় হয়ে এই সমাজ ও দেশ কখনো বদলাবে না। মূল্যবোধ তৈরি হবে না। সবাইকে নিয়ে বড় হতে হবে।
কেউ তাঁদের সাহস দেয় না, বলে না যে “তুমি পারবে” বরং বার বার মনে করিয়ে দেয় “তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না”।
জীবনে দারুণ কিছু করতে হলে, সাধারণ থেকে অসাধারণ হতে হলে “নিজেকে সময় দিতে হবে”। “নিজের সাথে কথা বলতে হবে”, প্রশ্ন করতে হবে “নিজের বিবেক কে? – আমি যা করছি তা কি ঠিক হচ্ছে? আমি কি নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছি? আমি কি অন্য কাউকে ঠকাচ্ছি, নাকি নিজেকে ঠকাচ্ছি? – তাঁদের জন্য এই বই।
এই বই প্রতিদিন আপনার বিবেক কে জাগ্রত করে রাখবে। ভালোমানুষ হয়ে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা দিবে।
এই বইয়ের ১০০ টা টিপস যদি আপনার জীবনে কাজে লাগান ও প্রতিদিন অনুশীলন করেন তবে আপনি একজন অসাধারণ মানুষ হবেনই"
ঠোঁট প্রসারিত করে হাসা খুবই সোজা। কিন্তু, যতক্ষণ না সেই হাসিটা মন থেকে আসছে, তুমি অভিনয় করে নিজের সাথে জিততে পারবে না। হাস্যোরসযুক্ত মানুষ অনেক বেশি খুশি থাকেন। এর পেছনে প্রধান কারণ, লাইফের বাজে পরিস্থিতি -গুলোকে হালকাভাবে নিতে পারা। ওই পরিস্থিতিতে’- হাস্যোজ্জ্বল থেকে কৌতুক করতে পারাটা বোঝায় তুমি নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছ।
টোকিয়োর এক বৃষ্টিভেজা রাতে এই বইয়ের সূত্রপাত হয়, যখন লেখকদ্বয় প্রথমবার শহরের একটি ছোটো বারে একসাথে বসে ছিলেন।
আমরা একে অপরের লেখা অনেকবার পড়েছি। কিন্তু জাপানের রাজধানী থেকে বার্সেলোনা হাজার হাজার মাইল দূরে হওয়ায় কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। তারপর পরস্পরের পরিচিতি একজন বন্ধু আমাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে একটি বন্ধুত্বের সূচনা ঘটান, যা এই প্রকল্পের দিকে পরিচালিত হয় এবং মনে হয় এটি আজীবন স্থায়ী হবে।
এক বছর পরে যখন আবার একত্র হয়েছিলাম, তখন আমরা টোকিয়োর শহরতলিতে একটি পার্কের মধ্য দিয়া হাঁটতে হাঁটতে পশ্চিমা মনোবিজ্ঞানের প্রবণতাগুলো, বিশেষত, লোগোথেরাপির বিষয়ে কথা বলেছি, যা মানুষকে জীবনের উদ্দেশ্যে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। <br> <br> আমরা মন্তব্য করেছিলাম, ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কলের লোগোথেরাপি এখন আর তেমন সচল নেই। যদিও অনেক মানুষ এখনও তারা কী করছে এবং কীভাবে জীবনযাপন করে- তার মাঝে জীবনের অর্থ অনুসন্ধান করে। আমরা নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করি; আমার জীবনের অর্থ কী? কেবল দীর্ঘকাল বেঁচে থাকাই কি জীবনের উদ্দেশ্য, নাকি আমার আরও উচ্চতর উদ্দেশ্যের সন্ধান করা উচিত? কিন্তু লোক কেন জানে তারা ঠিক কী চায় এবং জীবনের প্রতি অনুরক্ত হয়, আর অন্যরা কেন বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত হয়? আমাদের কথোপকথনের এক পযায়ে, রহস্যময় শব্দ ‘ইকিগাই’ উঠে এলো।
এটি এক বিশেষ জাপানি সিক্রেট, যা আপনার অভ্যাসকে পরিবর্তিত করতে পারে আর নতুন চ্যালেঞ্জকে আঁকড়ে ধরার জন্য আপনাকে সহায়তা করতে পারে। এটি আপনার ক্ষুদ্রতম সময় পরিসরে ক্ষুদ্রতম একটি পদক্ষেপের মতই।
পরিবর্তনকে আমাদের চোখে সব সময় সর্বপ্লাবী বা সর্বগ্রাসী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু কাইজেন প্রণালীর দ্বারা ক্ষুদ্রতম প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজের দায়িত্বটি সুচারুভাবে পালন করতে আমরা সহজে সক্ষম হয়ে উঠতে পারি। তাই নিজের জীবনে কিভাবে কাইজেন প্রয়োগ করবেন, সেটা আয়ত্ত করুন। এই অসাধারণ পথনির্দেশক পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে ছোট্ট একটি প্রচেষ্টার অবয়বে আপনি নিজের লক্ষ্যে প্রশান্তির সাথে গিয়ে পৌঁছাতে পারেন, সেটা শিখে নিন।
আপনি নিজের স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আনতে চাইছেন, সেটা চিন্তার কোন কারণ নয়। কিংবা আপনি নিজেকে আরো বেশি প্রশান্ত, সুখী আর আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে দেখতে চাইছেন, সেটাও কোনো বিষয় নয়। কারন, সকল ক্ষেত্রে কাইজেন-ই হচ্ছে প্রমাণিত এবং পরীক্ষিত পদ্ধতি, যা অত্যন্ত নমনীয়তার সাথে আপনাকে পরিবর্তনের পথে পরিচালিত করতে পারে।