বিশ্ব জুড়ে মুসলিমদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আজ পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার।অশ্লীলতা, পরশ্রীকাতরতা, অবৈধ যৌনাচার ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র! এ্যান্টি-ইসলামিস্ট রানারীদের হিজাবসহ ইসলামের সামাজিকনীতি ও আচারঅনুষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।ইসলামী জীবন বিধানকে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির অন্তরায় হিসেবে উপস্থাপনের জন্য তাদের রয়েছে সকল ধরনের প্রচেষ্টা।তাদেরউদ্দেশ্য- আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোতে পরিবর্তন আনয়নকরা।এরই ধারাবাহিকতায় তারা বুদ্ধিমত্তার সাথে দরদী বন্ধু বেশে স্বাধীনতা ও সাম্যতার অজুহাতে নারীদের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছেন। মাত্র কিছু সুযোগ সুবিধা। আর বিনিময়ে কেড়ে নিয়েছে তাঁদের নারীত্ব, মাতৃত্ব, সম্মান, গৌরবওমর্যাদা।
সাহিত্য জগতের ব্যতিক্রমী বই 'দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড এবং 'দ্যকেয়ারিংওয়াইফ'! আপনার পারিবারিক জীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ এবং শান্তিময় করতে বইদুটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।আজকের এই বিপর্যস্ত সমাজে একজন কেয়ারিং হাজব্যান্ড বা একজন কেয়ারিং ওয়াইফ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার।পুরুষ কী মহিলা সবাই চায় তার জীবনে একজন কেয়ারিং লাইফ পার্টনার জুটুক। তাই একজন দ্বীনি লাইফ পার্টনার হিসেবে নিজেকে এবং স্পাউসকে গড়ে তুলতে অনেকেই বিভিন্নরকম চেষ্টা করে থাকেন।কিন্তু এ যাত্রায় অনেকে ই ক্লান্ত শ্রান্ত, আবার অনেকেই ব্যর্থ।
সমাজে দিনকে দিন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে, ডিভোর্সের সংখ্যা ও বেড়ে যাচ্ছে! ২০২০ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে; বাড়ছে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যক্রম ও অশ্লীলতা।
এমতাবস্থায় শুধু এই সব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দরও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে ‘দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড’ এবং ‘দ্যকেয়ারিংওয়াইফ’ বই দুটো খুবইকার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
সাহিত্য জগতের ব্যতিক্রমী বই 'দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড এবং 'দ্যকেয়ারিংওয়াইফ'! আপনার পারিবারিক জীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ এবং শান্তিময় করতে বইদুটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।আজকের এই বিপর্যস্ত সমাজে একজন কেয়ারিং হাজব্যান্ড বা একজন কেয়ারিং ওয়াইফ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার।পুরুষ কী মহিলা সবাই চায় তার জীবনে একজন কেয়ারিং লাইফ পার্টনার জুটুক। তাই একজন দ্বীনি লাইফ পার্টনার হিসেবে নিজেকে এবং স্পাউসকে গড়ে তুলতে অনেকেই বিভিন্নরকম চেষ্টা করে থাকেন।কিন্তু এ যাত্রায় অনেকে ই ক্লান্ত শ্রান্ত, আবার অনেকেই ব্যর্থ।
সমাজে দিনকে দিন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে, ডিভোর্সের সংখ্যা ও বেড়ে যাচ্ছে! ২০২০ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে; বাড়ছে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যক্রম ও অশ্লীলতা।
এমতাবস্থায় শুধু এই সব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দরও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে ‘দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড’ এবং ‘দ্যকেয়ারিংওয়াইফ’ বই দুটো খুবইকার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
সাহিত্য জগতের ব্যতিক্রমী বই 'দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড এবং 'দ্যকেয়ারিংওয়াইফ'! আপনার পারিবারিক জীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ এবং শান্তিময় করতে বইদুটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।আজকের এই বিপর্যস্ত সমাজে একজন কেয়ারিং হাজব্যান্ড বা একজন কেয়ারিং ওয়াইফ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার।পুরুষ কী মহিলা সবাই চায় তার জীবনে একজন কেয়ারিং লাইফ পার্টনার জুটুক। তাই একজন দ্বীনি লাইফ পার্টনার হিসেবে নিজেকে এবং স্পাউসকে গড়ে তুলতে অনেকেই বিভিন্নরকম চেষ্টা করে থাকেন।কিন্তু এ যাত্রায় অনেকে ই ক্লান্ত শ্রান্ত, আবার অনেকেই ব্যর্থ।
সমাজে দিনকে দিন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে, ডিভোর্সের সংখ্যা ও বেড়ে যাচ্ছে! ২০২০ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে; বাড়ছে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যক্রম ও অশ্লীলতা।
এমতাবস্থায় শুধু এই সব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দরও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে ‘দ্যকেয়ারিংহাজব্যান্ড’ এবং ‘দ্যকেয়ারিংওয়াইফ’ বই দুটো খুবইকার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ভয়াবহ আগ্রাসন বাংলাদেশী মুসলিম তরুনÑতরুনীদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আধিপত্যবাদী এই সংস্কৃতি ক্রমেই ইসলামী বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজম্ম আরও বেশি হুমকির সম্মুখিন হতে পারে। আধুনিকতা, স্বাধীনতা আর সাম্যের নামে তারা মুসলিম বিশ্বে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাচ্ছে। ফলে মুসলিম উম্মাহ আজ সাংস্কৃতিক অরাজকতা আর বিচ্যুতিতে ভুগছে, যা সামাজিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এর ফলে মুসলিম নারী- পুরুষেরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, কর্তব্য ও অঙ্গীকার ভুলে যাচ্ছে। তাই সমাজকে অবিশ্বাসর অতল গহ্বরে পতিত হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পথভ্রষ্ট প্রজম্মকে আল্লাহর দ্বীনের সঠিক পথে আনা খুবই কঠিন কাজ। আমাদের লক্ষ্য হলো এই কঠিন কাজকে সহজ করা এবং ইসলামী ধারণা ও মূল্যবোধকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া।
উপন্যাসটিকে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির আলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরষ্পরবিরোধী কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে পাশ্চাত্য ভাবধারার মিথ্যা আধুনিকতা এবং ইসলামী সভ্যতার সুমহান সৌন্দর্যকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিবাহিত নায়ক নায়িকাদের পারষ্পরিক কথোপকথনের মাধ্যমে যুবসমাজকে নৈতিকভাবে সচেতন করা হয়েছে। আমি কোন পেশাদার লেখক বা উপন্যাসিক নই। তবে এই উপন্যাসে আমি ভাল ও মন্দকে পরষ্পর মুখোমুখি করেছি, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিপরীতে ইসলামী সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্বকে তুলে ধরেছি। আশাকরি এই উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক দুষ্কর্মের উপর পূণ্যকে বিজয়ী করার প্রেরণা খুঁজে পাবেন।
বইটি একটি উপন্যাস। এই উপন্যাসের মূল চরিত্রে আছেন দুইজন পর্দানশীল নারী। একজন ডাক্তার এবং একজন রুয়েট শিক্ষার্থী। এই দুই নারীর পারস্পরিক আলাপচারিতা ও যুক্তি উপস্থাপনে ফুটে উঠেছে স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ তা'আলার মহত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রজ্ঞার কথা। একইসাথে প্রতিকূল পরিবেশে বাধা-বিপত্তির মুখে পর্দানশীল মেয়েদের ইসলামের পথে টিকে থাকার সংগ্রামের কাহিনীও বর্ণিত হয়েছে এই উপন্যাসটিতে। বর্তমান সমাজে চলমান ঘটনার যথার্থ চিত্র ফুটে উঠেছে 'হিজাবী কন্যা ২' নামক এই বইটিতে
বইটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কথা: গল্পের যে কত ক্ষমতা! সূরা ইউসুফের শুরুতে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেছেন সূরা ইউসূফ হচ্ছে বেস্ট অব দ্য স্টোরিস। পৃথিবীতে যত গল্প হতে পারে, যত উপাখ্যান হতে পারে, যত কাহিনী হতে পারে তার মধ্য থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ গল্প বা উপাখ্যান হচ্ছে সূরা ইউসূফ এর স্টোরি। এর চাইতে সুন্দর গল্প বা উপাখ্যান হতে পারে না। একটা গল্প কতটা নান্দনিক হতে পারে, কতটা অনবদ্য হতে পারে, কতটা অনিন্দ্য সুন্দর হতে পারে, এর ধারা বর্ণনাশৈলী কতটা চমকপ্রদ হতে পারে তা পাঠক এই বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন। কত সুন্দরভাবে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা‘আলা সূরা ইউসূফের কাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
মনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় কাছের মানুষগুলি ভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে অবিশ্বাসের অতল গহবরে হারিয়ে নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়। নিজের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে থাকে চারিপাশে, জুলুম করতে থাকে নিজেদের ক্বলবকে। দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটতে থাকা ঐ সব বন্ধুদের অবুঝ প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দেয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হলো এই বইটি। যদি কোনও অশান্ত মন শান্ত হয়, দিন শেষে ফিরে আসে সত্য সুন্দর তাওহিদের পথে কেবল তখনই আমরা স্বার্থক, লেখকের কলম স্বার্থক!
যান্ত্রিক এই পৃথিবীতে মানুষও যেন আজ যন্ত্রের মতো চলছে। কেউ কারও খোঁজ রাখেনা, সবাই নিজ নিজ গতিতে চলছে। একই বিল্ডিংয়ে দশটা ফ্যামিলি থাকলে কেউ কাউকে চেনে না।এমনকি বর্তমানে নিজ বাবা-মাকে পর্যন্ত বোঝা মনে করে, পর মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছে। অথচ পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন হচ্ছেন আমাদের বাবা-মা, যাদের মাধ্যমে আমরা এই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেছি। স্বার্থপর এই পৃথিবীতে একমাত্র বাবা-মার ভালবাসাই হচ্ছে নিঃস্বার্থ ভালবাসা। বাবা-মা-ই হচ্ছে সন্তানের জন্য জান্নাত, বাবা-মা-ই হচ্ছে সন্তানের জন্য জাহান্নাম। প্রতিটি সন্তানের উচিত নিজ বাবা-মাকে হৃদয়ের মণিকোঠায় আসন দিয়ে, তাঁদের সেবা করে নিজের জন্য জান্নাত অবধারিত করা।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তাঁর অসীম জ্ঞানের মাধ্যমে তিনি মাসের প্রত্যেকটা দিন এবং বছরের প্রত্যেকটি মাসকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আল্লাহর এক অশেষ রহমত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতের জীবনকে সুন্দর করার জন্য ব্যয় করা উচিত। এ হিসেবে সকল দিন এবং সকল মাস একই রকম। কোন মাসই অপ্রয়োজনীয়,অনিষ্টকর বা অপবিত্র নয়। শরীয়তের দৃষ্টিকোণকে সামনে রেখে প্রত্যেক মাসের সর্বোচ্চ ব্যবহারই আমাদের কাম্য। আমরা যদি তা করতে পারি, তাহলে সকল দিন এবং সকল মাসই আমাদের জন্য পবিত্র। কিন্তু আমরা যদি শরীয়তের দৃষ্টিকোণকে সামনে রেখে না চলতে পারি তাহলে বিশিষ্ট কোন দিন বা মাসের পবিত্রতা বা মর্যাদা আমাদেরকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে না। কিছু কিছু নির্দিষ্ট দিন এবং মাসকে আল্লাহ বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন এবং সেই দিনগুলিতে তিনি ভালো কাজের পুরস্কার বাড়িয়ে দিয়েছেন। নির্দিষ্ট কিছু সময় এর উপর আরোপিত এ মর্যাদা মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে। বইটি এ সকল নিয়ম কানুন এবং স্বতন্ত্র মর্যাদা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা সাধারণ পাঠকদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। কুরআনের দলিল অথবা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশিত সহীহ সুন্নত এর বাইরে গিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়কে অতিরিক্ত কোনো মর্যাদা বা বিশেষণ প্রদান করা যাবে না। পাঠকদের সুবিধার্থে বইতে আরবি মাসগুলির উল্লেখ করে, সে বিষয়ে সহীহ ও বানোয়াট কথা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সালাতের পাশাপাশি এ সকল মাসের সিয়াম ও অন্যান্য ফজিলত বিষয়ক কথাগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে করে একজন মানুষ সহজে বুঝতে পারে, কোন একটি নির্দিষ্ট মাসে অথবা দিনে শরীয়তের দৃষ্টিতে অনুসারে কোন কোন কাজ করা যাবে এবং কোন কোন কাজ করা যাবে না।
সকল বাবা—মায়ের বুক ভরা আশা— আমার স্নেহের সন্তান হবে আদর্শবান ও সুনাগরিক। এজন্য জন্মের পূর্বেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে আমরা দু‘আ করে থাকি - “রাব্বি হাবলি— মিনাস— ছলিহি—ন” (সূরা আস সফফাত : ১০০) কিন্তু বাবা—মা সন্তান পেয়ে আল্লাহকে ভুলে যায়। দীনহীন শিক্ষা ও সভ্যতায় সন্তানকে গড়ে তোলে। ফলে সন্তান ভুলে যায় তার রবকে, তার দীনকে, এমনকি ভুলে যায় তার বাবা—মাকেও। অসহায় বাবা—মা বৃদ্ধ বয়সে সন্তান থাকা সত্ত্বেও হয়ে যায় সন্তানহীন, অনেকের আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে। দেশ—জাতি সকলেই বঞ্চিত হয় সন্তানের সেবা হতে। কারণ তার মাঝে কোনো নীতি থাকেনা, সে হয়ে যায় নীতিহীন। অতএব আপনার সন্তানকে নীতিবান, আল্লাহভীরু, সুনাগরিক ও পিতামাতার প্রতি আনুগত্যশীল হিসেবে পেতে চাইলে তাকে গড়তে হবে ইসলামী আদব ও স্বভাবের আদলে। এ লক্ষ্যেই আপনার সোনামণির জন্য আমাদের ছোট্ট উপহার ‘‘ছোটদের প্রতি নবিজির উপদেশ” বইটি।
এক জীবনে আপনি হয়তো অনেক পড়াশোনা করেছেন এবং করবেন। কারণ, জ্ঞানার্জনের জন্য আপনাকে পড়াশোনা করতেই হবে। তবে মুমিন হিসাবে আপনার পাঠ তালিকায় রাসূলুল্লাহর (ﷺ) পবিত্র সিরাত বা জীবন আদর্শ থাকা অপরিহার্য। আদর্শ জীবন বিনির্মাণে 'সীরাতে রহ'মাতুল্লিল আ'লামিন' নামক এই বইটি আপনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ~ ইনশাআল্লাহ। বইটি পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-<br> বাহ্যিক সৌন্দের্যের জন্য : একজন সভ্য-ভদ্র ও সুন্দর মানুষের জন্য বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সজ্জিত করা অপরিহার্য। অন্য গুণাবলি যতই উচ্চমানের হোক, যদি বাহ্যিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিপাটি না হয়, তবে সে মানুষ কখনোই সভ্যজনদের মধ্যে গণ্য হতে পারে না। আপনি যদি এ ক্ষেত্রে একজন সুন্দরতম মানুষ হিসাবে নিজেকে অলংকৃত করতে চান, তবে জীবন সৌন্দর্যের অনন্য উপমা মহানবীর (ﷺ) জীবনীগ্রন্থ পাঠ করুন। সেখানেই আপনি পাবেন সুন্দরতম অঙ্গসজ্জা ও শ্রেষ্ঠতম বেশবিন্যাস, যার অনুসরণ আপনাকে করে তুলবে সুদর্শন, মার্জিত ও মোহনীয়। <br> অন্তর্জগৎ আলোকিত করার জন্য : বাহ্যিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের চেয়ে হৃদয় জগৎই বেশি দামি। এটা বহুগুণের লালন ক্ষেত্র, বিপুল সম্ভাবনার বিচিত্র ভুবন। এ ভুবনের চাষাবাদ, যথার্থ পরিচর্যা দ্বারা একজন সাধারণ মানুষ মহামানুষে পরিণত হতে পারে। প্রকৃত মানুষ হিসাবে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে অন্তর্লোকে নিহিত গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে হবে। কোথায় পাব সে পথের দিশা? হ্যাঁ, নবী মুহাম্মাদর (ﷺ) জীবনচরিতে রয়েছে তার বিশদ বর্ণনা। সেখানে পাওয়া যাবে উত্তম চরিত্রের বিকশিত রূপ পরিপূর্ণ মাত্রায়। আপনি আখেরি নবী (ﷺ) কে পাঠ করুন। পাবেন সত্যবাদিতা, সাহসিকতা, কোমলতা, দৃঢ়তা, বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহানুভূতি-সহমর্মিতা, কল্যাণকামিতা, বদান্যতা, ধৈর্য-সহিষ্ণুতা, স্নেহ-মমতা, পরমতসহিষ্ণুতা, আত্মসচেতনতা, আল্লাহর প্রতি পরম আস্থা, আপন কাজে নিষ্ঠা ও অবিচলতা, ন্যায়ের প্রতি আনুকূল্য, অন্যায়ের প্রতি বজ্রকাঠিন্য, নিঃস্বার্থ ত্যাগ-তিতিক্ষা। মোটকথা উন্নত চরিত্রের সব উপাদান।
নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নতির জন্য : মানুষ সমাজবদ্ধ প্রাণী। সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এ সামাজিক জীবনে আচার-আচরণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।মার্জিত আচরণ শত্রুকে বন্ধুতে পরিণত করে, পরকে আপন করে তোলে এবং সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে। নিঃসন্দেহে সে মার্জিত ব্যবহারের সঠিক ধারণা লাভের জন্য আমাদের অবশ্যই মহানবীর (ﷺ) জীবনীগ্রন্থ পাঠ করতে হবে।
জীবনে ভারসাম্য আনার জন্য : জীবনের সবকিছুতে মধ্যম পন্থাই শ্রেষ্ঠ। কাউকে ভালোবাসবেন, তো সে ভালোবাসার একটা মাত্রা থাকা চাই। আবার সঙ্গত কোনো কারণে কারও সঙ্গে শত্রুতা সৃষ্টি হলে, সে শত্রুতাও যেন সীমা অতিক্রম না করে। অর্থোপার্জন করুন, কিন্তু উন্মত্ত হয়ে নয়, আবার বিত্তে নিরাসক্তিও যেন বৈরাগ্যে পর্যবসিত না হয়। কিন্তু আমরা কী করছি? আমরা যখন আনন্দ করি তখন সম্পূর্ণ বেসামাল হয়ে যাই, আবার যখন অবসাদে পায়, তখন সম্পূর্ণ অকর্মণ্য হয়ে পড়ি। জীবনের সব ভুবনেই আমরা প্রচণ্ড অমিতাচারী। তাই যে সুখের সন্ধানে আমরা ভবঘুরে, কিছুতেই তার নাগাল পাই না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে জীবনের সব আচার-আচরণে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে। অভ্যস্ত হতে হবে মধ্যমপন্থায় চলতে। আর সে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় মহানবীর (ﷺ) সিরাতে।
দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য : মানুষ হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের ওপর নানাবিধ দায়-দায়িত্ব অর্পিত আছে। পারিবারিক, নৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় প্রভৃতি। এসব দায়-দায়িত্বের প্রতি আমরা খুব কমই সচেতন। যে ব্যক্তি মহানবীর (ﷺ) জীবন-চরিত পাঠ করবে, সে নিঃসন্দেহে এ সত্য মরমে মরমে উপলব্ধি করবে।
রাসূলুল্লাহর (ﷺ) পবিত্র জীবনের পুরোটাই আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। আসুন, রাসূলুল্লাহর (ﷺ) পবিত্র আদর্শে নিজেদের গড়ার লক্ষ্যে আমরা সিরাত পাঠে আত্মনিয়োগ করি। সিরাতের পবিত্র অনিন্দ্য সুন্দর নয়নাভিরাম উদ্যানে আপনাকে স্বাগতম।